বিডিলনিউজঃ
নতুন করে দায়ের হওয়া তিন মামলায় বিএনপির ২৪১ জনকে আসামি করার পর এখানকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই আত্মগোপনে চলে গেছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, দলীয় মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে যুক্ত জেলা ও মহানগর বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী নিজের বাসাবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন। অনেকে মুঠোফোনও বন্ধ রাখছেন। যদিও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে এখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশ ছিল। সর্বশেষ মামলাটি হয়েছে গত বুধবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ সুরমা থানায়। ওই থানার একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) ওপর ককটেল হামলার অভিযোগে ওই কর্মকর্তা বাদী হয়ে করা মামলায় মোট আসামি ৭৩ জন। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল জানান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেনকে প্রধান আসামি করে এজাহারে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের সবাই বিএনপির নেতা-কর্মী বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) এম এ ওয়াহাব। বিএনপির নেতারা বলছেন, দক্ষিণ সুরমা এলাকাটা কিছুটা অনুন্নত। সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশতেহারে ‘পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ সুরমার বিষয়ে বাড়তি নজর’ থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এখন সেখানকার নেতা-কর্মীরা ‘দৌড়ের ওপর’ আছেন। এর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে শাহপরান থানায়। দুটিই হয়েছে গত শনিবার। একটির বাদী পুলিশ, অপরটির বাদী আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন রকম। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করা হয়, কিন্তু পুলিশ স্বীকার করছিল না। তাঁদের কোনো খোঁজও মিলছিল না। এরপর শনিবার দুপুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পুলিশের উপকমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ঘণ্টা দুয়েক পর পুলিশ ওই দুই কর্মীকে আটক করে আদালতে পাঠানোর কথা জানালে আরিফুল হক সেখান থেকে ফিরে আসেন।
Discussion about this post