সুন্দরবনের ভারতের অংশে গড়ে ওঠা ছাড়পত্রবিহীন হোটেল ও রিসোর্টগুলোকে কেন বন্ধ করে দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন ভারতের পরিবেশ আদালত।
পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলায় বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি এস পি ওয়াংদি ও বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রের নেতৃত্বে ভারতের পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
অভিযোগে দাবি করা হয়, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উপকূল এলাকায় সব মিলিয়ে ১৬৭টি হোটেল ও রিসোর্ট চালু রয়েছে। সেগুলোর কোনোটিরই পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র নেই। কোনো কোনোটির আবার কোস্টাল রেগুলেশন জোন অথরিটির অনুমোদন নেই।
কোনো কোনোটির ভারতে যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ট্রেড লাইসেন্সও নেই।
অনেক ক্ষেত্রে হোটেল ও রিসোর্টগুলোর ছাড়পত্র বেআইনিভাবে নেওয়া হয়েছে বলে পরিবেশকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছিলেন পরিবেশ আদালত।
মামলাকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত অভিযোগ করেছেন, শীতের মৌসুমে অনেক পর্যটক সুন্দরবনের গভীরে চলে যাচ্ছেন। ফলে সেখানে শব্দ, বায়ু ও জলদূষণ হচ্ছে।
ব্যাপক হারে মাইকের ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এই পরিবেশকর্মী। এ দূষণের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে অবিলম্বে নির্দেশ জারি হওয়া প্রয়োজন বলেও মামলাকারীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আদালত পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশ দফতর ও পর্ষদকে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছেন অথবা রায় দেবেন বলে জানান বিচারকরা।
Discussion about this post