নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্টের সামনে ভাঙচুরের ঘটনার কারণে তার জামিন শুনানিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের শুনানিকালে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানিকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, এসেছিলাম মামলার শুনানি করতে। কিন্তু বাইরের অবস্থা (প্রচুর সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে) দেখে তো আমাদের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে! মনে হচ্ছে,এটা কোনও জঙ্গি বা মৃত্যুদণ্ডের আসামির বিচার।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগের দিন (গত ২৬ নভেম্বর) আপনারা সুপ্রিম কোর্টের সামনে গেটে এসে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন, ভাঙচুর করেছেন, মিছিল-সমাবেশ করেছেন। এজন্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক বিষয়। মাঠে-ময়দানের বিষয় এখানে আনা ঠিক হবে না। মাঠে-ময়দানের বিষয় মাঠেই থাকুক।’
এরপর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু করে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা মামলার মেরিটে বলতে চাই না। মানবিক কারণে জামিন চাই। তিনি (খালেদা জিয়া) বয়স্ক একজন নারী, অসুস্থ হয়ে হাসাপাতালে রয়েছেন। মানবিক কারণে তার জামিন চাই।আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট নেই। তাই উপস্থাপন করতে পারছি না। নন-অফিসিয়াল একটি রিপোর্ট রয়েছে। তা আমরা উপস্থাপন করতে চাই না। খালেদা জিয়ার পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে দেখা করেছে। আমরাও গতকাল (বুধবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করেছি। তার কাছে মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছি। তিনি আমাদের রিপোর্ট দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যার্টনি জেনারেল তাকে বলেছেন- আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাউকে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেওয়া যাবে না।
এসময় অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম দাঁড়িয়ে বলেন, আমি ভিসিকে কিছুই বলিনি। তখন জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, ‘আপনি চাইলে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তলব করতে পারেন।
Discussion about this post