ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাসেত মজুমদারের ছেলে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।তিনি জানান, রোববার (২৪ অক্টোবর) তার বাবাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক করায় ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর গত ৬ অক্টোবর সাঈদ আহমেদ রাজা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সর্বশেষ উনার পেছনের মেরুদণ্ডের হাঁড়ের একটা ডিস্ক ডিসপ্লেসমেন্ট হয়ে যায়। প্রায় দুই-আড়াই মাস থেকে উনি খুবই অসুস্থ। তারপর সর্বশেষ ১০-১২ দিন ধরে উনার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ ছিল।
‘গরিবের আইনজীবী’ হিসেবে খ্যাত আবদুল বাসেত মজুমদার আইন পেশায় ৫৬ বছর পার করেছেন। ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক।
তিনি ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম (বর্তমানে লালমাই) উপজেলার শানিচো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আব্দুল আজিজ মজুমদার, মা জোলেখা বিবি। স্থানীয় হরিচর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক (এসএসসি) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ (এইচএসসি) ও বিএ পাস করেন তিনি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবীর বড় ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ব্যবসা করেন। ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। দুই মেয়ের মধ্যে ফাতেমা আক্তার লুনা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। সর্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিকে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। ছোট মেয়ে খাদিজা আক্তার ঝুমা উত্তরা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর।
Discussion about this post