গরিব ও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের আইনগত সহায়তা সেবা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নেতৃত্ব দিতে চায় লিগ্যাল এইড কমিটি।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টে ‘সরকারি আইন সেবা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, যে আইনি সহায়তা সেবা দেওয়া হচ্ছে, তাতে অনেক সমস্যা থাকবে। আমরা সেসব সমস্যাগুলো সমাধান করে আইনি সহায়তা সেবা দেব। এই আইনি সহায়তা সেবার নেতৃত্ব সুপ্রিম কোর্ট থেকেই আমরা দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, মার্চ মাসে আমি লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। কমিটির আইনি সহায়তা দেওয়া সেবামূলক কাজ। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে এবং সমস্যা সমাধানে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- সেগুলো আমরা গ্রহণের চেষ্টা করবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ, সিনিয়র সাংবাদিক ও ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক তিন সভাপতি কাজী আবদুল হান্নান, সালেহউদ্দিন ও এম বদি-উজ-জামান।
সুপ্রিম কোর্টে ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এর আগে গঠন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
বর্তমানে এ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। সঙ্গে রয়েছে আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীসহ ১১জন সদস্য। এর মধ্যে চেয়ারম্যানসহ ১০ জন নিয়ে মূল লিগ্যাল এইড কমিটি। বাকী দুইজন পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
এ কমিটির মাধ্যমে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ফৌজদারি আপিল ও রিভিশন, দেওয়ানি আপিল ও রিভিশন, জেল আপিল, রিট পিটিশন ও লিভ-টু- আপিল।
সুপ্রিম কোর্টে আইনি সেবা দেওয়ার জন্য লিগ্যাল এইড অফিস হাইকোর্ট বিভাগে ৬৯ এবং আপিল বিভাগে ৫ জন আইনজীবী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন।
Discussion about this post