দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর স্থাপত্য শৈলী যেন নান্দনিকতার এক অনন্য নিদর্শন। আর কোর্ট এলাকা জুড়ে থাকা সবুজের স্নিগ্ধতা সে নান্দনিকতায় যোগ করে মুগ্ধতার ভিন্ন মাত্রা। এবার সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখে বসছে দৃষ্টিনন্দন এক ভাস্কর্য! সুপ্রিম কোর্টে মূলভবনের সামনে ফোয়ারার মধ্যে এটি স্থাপন করা হচ্ছে। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছেন ভাস্কর মৃণাল হক।
ভাস্কর্যটি একজন নারীর। তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। তার ডান হাতে তলোয়ার বাম হাতে দাঁড়িপাল্লা। তলোয়ারটি নিচের দিকে নামানো। দাঁড়িপাল্লা উপরে ধারণ করে আছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাস্কর্যটির কাজ সম্পন্ন করতে আরো কয়েক দিন লাগবে। কাজ শেষ হলে প্রধান বিচারপতি এটির উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি।’
ভাস্কর্যটি নির্মাণকারী ভাস্কর মৃণাল হক বলেন, ‘সারা বিশ্বেই এটি বিচার বিভাগের প্রতীক। তবে অন্যান্য দেশে স্থাপিত ভাস্করর সাথে আমাদের দেশের ভাস্কর্যের একটু পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য দেশে ভাস্কর্যের গায়ে স্কার্ফ পরা থাকলেও এখানে শাড়ি পরানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দেশে পায়ের নিচে সাপ থাকলেও এখানে এটি বাদ দেয়া হয়েছে।
এই ভাস্কর্য কী বার্তা দিচ্ছে
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই ধরনের একটি ভাস্কর্য ইংল্যান্ডের ওল্ড বেইলি ক্রিমিনাল কোর্ট ভাবনের সামনে স্থাপিত রয়েছে। এটি হলো গ্রিকদের ন্যায় বিচারের দেবী।’
উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, রোমানদের কাছে এটি ন্যায় বিচারের দেবী। গ্রিক মিথ অনুযায়ী গ্রিক ন্যায় বিচারের দেবীর অনুরূপ। দেবীর চোখ বাধা রয়েছে। এর অর্থ হলো-একজন বিচারক পক্ষপাতিত্ব করবেন না। তার কাছে সবাই সমান। দেবীর বাম হাতে দাঁড়িপাল্লা আছে। এর অর্থ হলো- একজন বিচারক সবার মাঝে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। দেবীর ডান হাতে রয়েছে তলোয়ার। এর অর্থ হলো-অন্যায় কারীকে একজন বিচারক দণ্ড প্রদান করবেন।
Discussion about this post