বাংলাদেশ হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর যে সংবিধান চালু করা হয়, ওই সংবিধানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ বিষয়ে সংসদীয় অভিসংশন ব্যবস্থার উল্লেখ ছিল। এ বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ৯৬(২)-এর বিধানে উল্লেখ ছিল- প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত কোনো বিচারককে অপসারিত করা যাবে না।</p> চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা চালু করা হলে অনুচ্ছেদ নম্বর ৯৬(২)-এ সংশোধনী এনে বলা হয়- অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা কোনো বিচারককে তার পদ হতে অপসারণ করা যাবে; তবে শর্ত থাকে যে, কোনো বিচারককে তার সম্পর্কে প্রস্তাবিত ব্যবস্থা নেয়ার বিরুদ্ধে কারণ দর্শাবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দান না করা পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা যাবে না।<br /> এরপর সংবিধানের দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ, ১৯৭৮-এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথা চালু করা হয়। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিষয়ে উল্লেখ ছিল- প্রধান বিচারপতি এবং পরবর্তী দু’জন কর্মে প্রবীণ বিচারক সমন্বয়ে এ কাউন্সিলটি গঠিত হবে এবং এ কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে একজন বিচারকের অসদাচরণ বা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যরে বিষয়ে তদন্ত করবেন। বিচারকদের অপসারণ পদ্ধতি অপর যেসব সাংবিধানিক পদধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তাদের ক্ষেত্রেও কাউন্সিলের বিধান চালু করা হয়।<br /> দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ, ১৯৭৮ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে অনুমোদিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করলে আবার সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেয় এবং তখন জনগণের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা জন্মে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ বিষয়ে বায়াত্তরের সংবিধানে উল্লিখিত সংসদীয় অভিসংশন ব্যবস্থা আবার চালু হবে। পরে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বায়াত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তন করা হলেও যেকোনো কারণেই হোক সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথা অক্ষুণ্ণ রাখা হয়।<br /> ২০১১ সালে যখন সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীটি আনা হয় তখন নবম সংসদ বহাল ছিল। ২০১৪ সালে দশম সংসদ আসে। দশম সংসদ নির্বাচনটি বিভিন্ন কারণে দেশ ও বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ। এ দশম সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ বিষয়ে বায়াত্তরের সংবিধানে উল্লিখিত সংসদীয় অভিসংশন ব্যবস্থা আবার চালু করা হয়। এ ব্যবস্থাটি চালুর পর প্রশ্ন দেখা দেয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে অসদারচণ বা অসামর্থ্যরে অভিযোগ উত্থাপিত হলে বিষয়টির কে তদন্ত করবেন বা তদন্ত কার্য কিভাবে সম্পন্ন করা হবে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীতে উল্লেখ রয়েছে যে সংসদ প্রণীত আইনের মাধ্যমে অপসারণ বিষয়ে তদন্তের পদ্ধতি নির্ধারিত হবে। এ আইনটি বর্তমানে প্রণয়ন পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে কাউন্সিল বা কমিটি কাদের সমন্বয়ে গঠিত হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন ধরনের মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। অনেকের অভিমত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পূর্ববর্তী কাউন্সিলের গঠনপ্রক্রিয়া যেরূপ ছিল সেরূপ হওয়া সমীচীন। আবার অনেকের অভিমত, বিচার বিভাগবহির্ভূত ব্যক্তি সমন্বয়ে কাউন্সিলের গঠন স্বাধীন বিচারব্যবস্থার চিন্তাচেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। আর তাই একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ হতে অবসরে যাওয়া দু’জন বিচারক সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠন যথার্থ হবে।</p> অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হলে তারা সরকারের দালাল হিসেবে পরিগণিত হবেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শীর্ষস্থানীয় দু-একজন আইনজ্ঞ এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এমনও অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের যে বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালিত হবে তার নি¤েœর পদমর্যাদার কেউ যদি সে তদন্তকার্য পরিচালনা করেন সে ক্ষেত্রে সামগ্রিক তদন্ত কার্যক্রমটি আইনসিদ্ধ হয়নি বলে গণ্য হবে। কিন্তু এ বিষয়ে ভিন্ন মতও পাওয়া যায়। ভিন্নমতাবলম্বীদের দাবি দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যখন অপরাধ সংঘটিত হয়, তখন প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে পুলিশের ইন্সপেক্টর বা সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদন্তকার্য পরিচালনা করেন এবং এরূপ ক্ষেত্রে তদন্তাধীন ব্যক্তি তদন্তকারী কর্মকর্তার উচ্চপদস্থ নাকি নি¤œপদস্থ সে প্রশ্নটি অবান্তর।<br /> গণকর্মচারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ বিষয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদন্তকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এরূপ তদন্তের ক্ষেত্রে এরই আগে কখনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি তদন্তাধীন কর্মকর্তা পদমর্যাদার দিক থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তার পদস্থ নাকি নি¤œস্থ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গণকর্মচারীদের বিরুদ্ধে আনা যেকোনো বিভাগীয় মামলার ক্ষেত্রে বিধান রয়েছে যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা পদমর্যাদায় তদন্তাধীন কর্মকর্তার উচ্চ পদের হবেন। স্পষ্টত বিভাগীয় মামলার ক্ষেত্রে যে বিধান অনুসৃত হয় একজন গণকর্মচারী দেশের প্রচলিত আইনের অধীন ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হলে তদন্তের ক্ষেত্রে ভিন্নতর বিধান অনুসৃত হয়।<br /> সাংবিধানিক পদধারী ও গণকর্মচারী এক বিষয় নয়। সাংবিধানিক পদধারী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ বিষয়ে বাহাত্তরের সংবিধানে, চতুর্থ সংশোধনী-পরবর্তী, পঞ্চম সংশোধনী-পরবর্তী ও ষোড়শ সংশোধনী-পরবর্তী যে বিধানের কথা বলা হয়েছে তা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য ছাড়া অপর সব সাংবিধানিক পদধারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সুতরাং প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, বিচারকবহির্ভূত অপরাপর সাংবিধানিক পদধারীদের অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব কেন সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বিচারক বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিল বা কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে?<br /> উচ্চ আদালতের বিচারকসহ আরো কিছু সাংবিধানিক পদধারীর বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে যে, তাদের যোগ্যতা, কর্মের শর্তাবলি প্রভৃতি সংসদে প্রণীত আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এ বিষয়ে উল্লেখ্য, বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য যে যোগ্যতার কথা বলা আছে তা হলোÑ একজন প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, তার সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় ন্যূনতম দশ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বা তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন ১০ বছর কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকতে হবে বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য যোগ্যতা থাকতে হবে।<br /> বিচার বিভাগের নিম্নতম পদ সহকারী জজ। সহকারী জজ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। বিচার বিভাগের নিম্নতম পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ায় উচ্চতর বিচার বিভাগ বা উচ্চাদালতে এর চেয়ে নিম্নের যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তির বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভের সুযোগ আছে কি না সে প্রশ্নটি এসে যায়।</p> বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় নিম্ন আদালতের নিম্নতম বিচারিক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যে শিক্ষাগত যোগ্যতার উল্লেখ রয়েছে তার চেয়ে নিম্নের শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন বিচারক উচ্চ আদালতে রয়েছেন। এটি নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী হলেও সংবিধানে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও সংসদে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন না করার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অনুরূপ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যানসহ সদস্য এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রভৃতি সাংবিধানিক পদধারীদের যোগ্যতা ও কর্মের শর্তাবলি বিষয়ে সংবিধানে সংসদ কর্তৃক আইন প্রণয়নের উল্লেখ থাকলেও এসব বিষয়ে অদ্যাবধি কোনো আইন প্রণীত হয়নি। এরূপ আইনের অনুপস্থিতিতে এসব সাংবিধানিক পদে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তির প্রবেশ ঘটলে দেশের সচেতন নাগরিকদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এ বাস্তবতায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বা কমিটি যেন কার্যক্ষম হয় সে বিষয়ে দেশবাসী আশ্বস্ত হতে চায়। কিন্তু সঙ্গত কারণেই এ কাউন্সিল বা কমিটি উচ্চ আদালতে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক নিয়ে গঠিত হলে অনেকের মনে প্রশ্নের উদয় হবে সে ক্ষেত্রে তা আগের বিধানে প্রত্যাবর্তনের নামান্তর নয় কী?<br /> যেসব দেশের সংসদীয় অভিসংশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে অনেকেই সেসব দেশের ক্ষেত্রে তদন্তকার্য পরিচালনায় কারা অংশগ্রহণ করেন এবং কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তা অবলোকনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিশ্বাসী এমন অনেকের অভিমত তদন্তের বিষয়টি সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা আইনজ্ঞ তাদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হলে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা সুসংহত হবে।<br /> সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদে নিয়োগ লাভ করে যদি দক্ষতার সাথে মন্ত্রণালয়ের কাজ সমাধা করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তদন্তকার্যটি সংসদ সদস্যবহির্ভূত অপর কাউকে দেয়া হলে এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া অমূলক নয় তারা কি এ কার্যটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার যোগ্যতা রাখেন না। এসংক্রান্ত আইনটি প্রণয়নকালে সংসদ সদস্যদের এ বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া অত্যাবশ্যক নয় কি?<br /> সংসদ সদস্যরা জনপ্রতিনিধি এবং জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণসহ ভালো কাজ করা ও ভালো আইন প্রণয়ন করার মধ্যে নিহিত আছে তাদের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ও সামর্থ্য। সংসদ সদস্যদের মধ্যে আইনজীবীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির জন্মের পর থেকে এ যাবৎকাল পর্যন্ত যারা আইনমন্ত্রী বা আইন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন তারা সবাই উচ্চ আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বার ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য। উভয় প্রতিষ্ঠানে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা শতভাগ স্বচ্ছ ও যোগ্যরাই যে নির্বাচনে সফলতা পেয়ে থাকেন, এ বিষয়ে কারো মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। তাই একান্তই কাউন্সিল বা কমিটি গঠনে বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তি বিষয়ে যে মতদ্বৈততা দেখা দেয় তা নিরসনে সুপ্রিম কোর্ট বা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যদি এটি গঠন করা হয় আশা করা যায় অন্য শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিল বা কমিটির পক্ষে-বিপক্ষের সব যুক্তির অবসানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কাউন্সিল বা কমিটি গঠনের দ্বার উন্মোচন করবে। আর তাই সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে কাউন্সিল বা কমিটি গঠন করা না হলে একমাত্র বিকল্প হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট বা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হওয়া বস্তুনিষ্ঠ বিবেচিত হয়।</p> লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক E-mail: iktederahmed@yahoo.com</p> <b>প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
Discussion about this post