একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সুবহানের আপিল সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় রয়েছে।
১৬ আগস্ট (বুধবার) সকালে তার আবেদনের উপর শুনানির দিন ধার্য করবে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, তার আপিলের ওপর কবে শুনানি হবে সে বিষয়ে দিন ধার্যের জন্যই মাওলানা সুবহানের মামলা কার্যতালিকায় এসেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে মাওলানা আব্দুস সোবহান বার্সেস চিফ প্রসিকিউটর এই নামে মামলাটি কার্যতালিকায় রয়েছে। মামলাটি বুধবারের কার্যতালিকার তিন নম্বর ক্রমিকে আছে।
দীর্ঘদিন বিচার থমকে থাকার পর গত ১৩ আগস্ট জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল কার্যতালিকায় আসে। ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যতালিকায় দুই ও তিন নম্বরে আজহার ও কায়সারের আপিল ছিল। এর দুইদিনের ব্যবধানে সুবহানের আপিল কার্যতালিকাভুক্ত হলো।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সুবহানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ মার্চ আপিল করেন তিনি। ৮৯ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ এক হাজার একশ ৮২ পৃষ্ঠার আপিল আবেদনে ৯২টি যুক্তি দেখানো হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের উত্থাপিত নয়টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড, দুটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একটিতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপর তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পাবনার একটি ফৌজদারি মামলায় সুবহানকে গ্রেফতার করার পর ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানো হয়।
Discussion about this post