ঘুষের টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে (চার্জশিট) অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুইয়ের আদালতে এ অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) ভবনে গত ১৭ জুলাই দুপুরে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে হতেনাতে গ্রেফতার করে দুদকের বিশেষ দল। পরে তার বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ মতিঝিল থানায় মামলা করেন। গ্রেফতারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
দুদক সূত্র জানায়, একটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর কাছ থেকে ফখরুল এ ঘুষের টাকা নিচ্ছিলেন।
মামলায় বলা হয়, বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌ-পরিবহন অধিদফতরে আবেদন করে।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬-এর ধারা ৫(ক) অনুযায়ী নকশা জমার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ অনুমোদন দিতে হয়। বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের কর্মকর্তা এ এন এম বদরুল আলম ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বিভিন্ন নামে বেশ কয়েকটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌ-পরিবহন অধিদফতরে আবেদন করেন। এসব নকশা অনুমোদনের জন্য অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে প্রতিটি জাহাজের আকারভেদে পাঁচ থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ ছাড়া তিনি কোনো নকশা অনুমোদন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
Discussion about this post