বিডি ল নিউজঃ দেশের টাকায় বিদেশে সেকেন্ড হোম সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই অভিযানে নামবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইস্টার্ন ব্যাংকের ট্যাক্স পকেট গাইড লন্সিং অনুষ্ঠোনে একথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার।
এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া অনেকেই দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে সেকেন্ড হোম নির্মাণ করেছেন। এ সব ব্যক্তিরা কোনো দেশেই কর প্রদান করছে না। তাদের কাছ থেকে কর আদায় করতে পারলে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। চলে যাওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য এনবিআর কাজ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ৩৩টি দেশের সঙ্গে ট্যাক্স সংক্রান্ত চুক্তি আছে। ওইসব দেশে বাংলাদেশের কোন কোন নাগরিকরা বাড়ি করেছেন তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশনকে তথ্য চাওয়া হবে। তখন আমরা দেখব তারা কিভাবে দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে নিয়ে গেলেন। অনিয়ম পেলে তাদের থেকে জরিমানাসহ কর আদায় করা হবে।
তিনি বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকির বিষয় খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ওই সব দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা ও কাতারের দূতাবাসের মাধ্যমে ওই সব দেশে সেকেন্ড হোম নির্মাণকারীদের তথ্য চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এতে আবার মানি লন্ডারিংয়ের মামলাও হতে পারে। এই মামলা আমরা করি না। দুদক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক রয়েছে তারা মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করতে পারেন। বাংলাদেশের অনেক নাগরিক আছেন যারা বিভিন্ন দেশে বাড়ি করেছেন। বিশেষ করে মালয়েশিয়াতে একটু বেশি।
বাড়িওয়ালাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গোলাম হোসেন বলেন, অর্ধেকের বেশি বাড়ি, ফ্লাটের মালিকদের ট্যাক্স ফাইল নেই। আমাদের প্রত্যেকের ট্যাক্স এডুকেশন থাকতে হবে। সবখানেই মধ্যসত্ত্বভোগী রয়েছে তাদের কারণেও সঠিকভাবে কর আদায় করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সবার মধ্যে ট্যাক্স কালচার গড়ে তুলতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে উন্নতি সম্ভব হবে না। ট্যাক্স পেয়ারের উচিত হবে-নিজের হিসাব নিজে করে সঠিক কর স্বউদ্যোগে পরিশোধ করা।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার জানান, ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ গ্রাহকদের মাঝে কর সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এ উদ্যোগ।
Discussion about this post