পুলিশ ও ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বজনরা জানায়, পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলা এলাকার বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সদস্য সোহেল রানার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৫) তার পাঁচ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জের একটি ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন করতে যান।
সেখান থেকে তিনি বিকালে বাবার বাড়ি ঘিওরে আসছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তিনি বাস থেকে নেমে ঘিওর উপজেলা পরিষদের অদূরে বটতলা মোড়ের একটি দোকানে উঠেন।
ওই দোকানে আট বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আমিরুল নানাভাবে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছিলেন। ছেলেটি পরিচিত হওয়ায় প্রতিবাদ করেন ইয়াসমিন। এ নিয়ে ইয়াসমিনের সঙ্গে আমিরুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইয়াসমিনকে মারধার করেন আমিরুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
শিবালয় সার্কেল এএসপি হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় আমিরুলকে আসামি করে ইয়াসমিন ঘিওর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ দুপুর দুইটার দিকে ঘিওর হাট-বাজার থেকে আমিরুলকে গ্রেপ্তার করেছে। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post