রাজধানীর কদমতলীতে পৃথক ঘটনায় সোহেলী ও নূর জাহান ওরফে বৃষ্টি হত্যাকাণ্ডের মূল ২ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে থানার মুরাদপুর এলাকা থেকে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কমদতলী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ঘটনার পর থেকে দু’জন আসামি পলাতক ছিলেন। ২৪ ঘণ্টার অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উভয় আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় থানার দক্ষিণ দনিয়া ২ নম্বর মিনাবাগ ১৪৯২ শিকদার ভিলার ২য় তলায় ভাড়া বাসায় ইতালী প্রবাসী মো. হান্নান মিয়ার মেয়ে সোহেলীকে (১২) কুপিয়ে হত্যা করে একই থানার নুরুল হকের ছেলে মো. রাব্বি। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি মামলা (মামলা নং-১৪) দায়ের করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামি রাব্বি একসময় ভিকটিম সোহেলীদের পাশের ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। সেই সূত্রে সোহেলীদের ফ্লাটে রাব্বি আসা যাওয়া করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আসামি রাব্বি তার সহযোগীকে নিয়ে সোহেলীদের ফ্লাটে আসেন। গল্পের ফাঁকে সোহেলীর মা সাহেদার কাছে ১ হাজার টাকা দাবি করেন রাব্বি। সাহেদা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সঙ্গে থাকা স্কুল ব্যাগ থাকা চাপাতি বের করে সোহেলীকে কুপিয়ে হত্যা করেন এবং সাহেদাসহ পরিবারের আরেক সদস্যকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান রাব্বি।
গ্রেফতারকৃত রাব্বি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
অপর ঘটনায় নাছির উদ্দিনকে তার স্ত্রী নূর জাহান হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চাঁদপুর জেলা সদরের ষোলঘর দর্জি ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
১৩ অক্টোবর সকালে থানার জুরাইন ১৫৮৭/২ শিকদার ভিলার নিচ তলায় ভাড়া বাসায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী নূর জাহানকে গলা টিপে হত্যা করে নাছির উদ্দিন। এ ঘটনায় নূর জাহানের বাবা কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর (নং ৪৭ (১০)’১৫।
এ মামলা সম্পর্কে ওসি জানান, হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান নাছির। পরে ১৯ অক্টোবর মরদেহ পচে গন্ধ বের হলে এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে পুলিশ নূর জাহানের মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
Discussion about this post