বগুড়ায় গর্ভবতী স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অপরাধে স্বামী বাপ্পী মিয়াকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি মামলার অন্য আসামিদের মুক্তি দেয় আদালত।
বাপ্পী মিয়া বগুড়া সদর উপজেলার হটিলাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
মামলাটি পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী জানান, ১৯৯৯ সালে বগুড়া সদর উপজেলার জয়পুরপাড়া এলাকায় বিয়ে করেন বাপ্পী মিয়া। ২০০০ সালের ১৪ জুন রাতে বিবাদের এক পর্যায়ে বাপ্পী সাত মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। পরে ওই নারীর মরদেহ বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।
একই বছর ১৬ জুন নিহত নারীর বাবা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামী বাপ্পী মিয়া, বাপ্পীর ভাই পাপ্পু ও টুটুল, টুটুলের স্ত্রী রানী বেগম এবং বাপ্পীর মা আরেফা বেগমকে আসামি করা হয়।
Discussion about this post