রাজবাড়ীতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আব্দুর রশিদকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনার দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আদালত এ রায় দেন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিনুল হক এ রায় দেন। এছাড়া, মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই নাম্বার আসামি আজম মণ্ডল বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর গভীর রাতে আজম মণ্ডলের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী শাহানারা বেগম দুলিকে গলা কেটে হত্যা করে আব্দুর রশিদ। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রশিদ রাজবাড়ী জেলা সদরের পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের মুকুন্দিয়া গ্রামের মৃত গফুর সরদারের ছেলে। জানা যায়, রাজবাড়ী জেলা সদরের নাওডুবি গ্রামের শাহানারা বেগম দুলির সঙ্গে ২৫ বছর আগে মুকুন্দিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ সরদারের বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। রশিদ সরদার ঘটনার আড়াই বছর আগে দুবাই যায়। এরপর দুই মেয়েসহ স্ত্রী দুলি বেগম বাবার বাড়িতে ওঠেন।
স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর পাশের গ্রামের আজম মণ্ডলের সঙ্গে দুলি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরে রশিদ দেশে আসার পরও আজমের সঙ্গে দুলির সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আজম তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে রশিদের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন রাতে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে দুলিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে রশিদ।
এ বিষয়ে দুলির ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে আব্দুর রশিদ সরদারসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় মামলা করেন। আজমের পরকীয়াই হত্যাকাণ্ডের কারণ বলে মামলায় বর্ণনা করা হয়। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ জানান, আজম মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
Discussion about this post