পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, ৩ বছর আগে গাজীপুর মহানগরের ১১নং ওয়ার্ডের জয়েরটেক এলাকায় সিরাজ মিয়ার মেয়ে নিগার সুলতানার সঙ্গে বাঘিয়া এলাকার সাইদুর মিয়ার ছেলে রতন মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। শুক্রবারও তাদের মাঝে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাগ-বিতণ্ডা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে নিগারকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন গুরুতর অবস্থায় কোনাবাড়ী এলাকায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিগারের বাবা সিরাজ মিয়া বলেন, ‘রতন মিয়া প্রায় আমার মেয়েকে মারধর করতো। ও আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে দিতে বলতো। কিছু দিন আগেও রতনকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে আমার মেয়েকে রতন ও তার মাসহ আরও কয়েকজন মিলে গলাটিপে হত্যা করে। আমার মেয়ে নিগার সুলতানা ৩ মাসের অন্তসত্ত্বা ছিল।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও টঙ্গী সার্কেল) সাখাওয়াত হোসেন জানান,এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রতন মিয়া ও তার শাশুড়িকে পুলিশ আটক করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।
Discussion about this post