কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে গাজীপুর থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আটক করেছে বলে দাবি সবুজের পরিবারের।
শুক্রবার(২১ আগস্ট) সকালে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সবুজের বাবা শেখ কাইজার হোসেন, মা সাহিদা বেগম, স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (জিনিয়া), ছেলে শাহেদ হোসেন প্রেম, মেয়ে সুমাইয়া ফেরদৌসসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সবুজের মা সাহেদা বেগম বলেন, শুক্রবার ভোরে গাজীপুর জেলার মওনা এলাকার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট থেকে আমার ছেলে (সবুজ) ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুকে ও রিসোর্টের মালিক মনিরুজ্জামানকে আটক করে র্যাব।
এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে সবুজ এবং লাবুর আটকের বিষয়ে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো তথ্য জানানো হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার মোসাদ্দেক ইবনে মুজিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, আমরাও লোকমুখে শুনেছি ব্যাপারটা। সত্যতা জানি না। তবে, এতটুকু বলতে পারি হত্যা মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন। সবুজ কুষ্টিয়ার পুলিশ-র্যাবের তালিকাভুক্ত অপরাধী।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুরো সময় তিনি ফেরারি ছিলেন। তালিকাভুক্ত আসামি সবুজ শহরে ফেরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর।
গ্রেফতারের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও কিছু বলতে রাজি হননি।
১৫ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শেষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী সবুজ নিহত ও ৫ জন আহত হন। এ ঘটনার পরদিন নিহত সবুজের ভাই আরিফ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Discussion about this post