মঙ্গলবার নগরীর বিবিরহাট গরুবাজার সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, গরুবাজারের কারণে মুরাদপুর-হামজারবাগ-অক্সিজেন সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিবিরহাট বাজারে মঙ্গলবার প্রধান বাজার বসায় ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে ভিড় করছেন। জেলার উপজেলাগুলো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করায় গরুবাজারের সীমানা বিবিরহাট বাজার ছাড়িয়ে মুরাদপুর, আতুরারডিপো, বিবিরহাট সুন্নিয়া মাদ্রাসা, মোহাম্মদপুর পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। ফলে সড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে পারছেনা।
বিবিরহাট এলাকায় ট্রাফিক দায়িত্বে নিয়োজিত কনস্টেবল সুমন বলেন, মানুষ গরু নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদেরকে সরাতেও পারছিনা।
এবার সড়কে গরুবাজার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সড়কের ওপরই গরুবাজার বসিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
এ বিষয়ে কনস্টেবল সুনীল ও শহীদ বলেন, মানুষ গরু নিয়ে যাচ্ছে। ট্রাফিক থাকলেও রাস্তায় গাড়ি নেই। পুরো এলাকায় গরুবাজার ছড়িয়ে গেছে। প্রচুর পরিমাণ গরু নিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা। গরু নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে। রাস্তায় দাঁড়াতে নিষেধ করলেও মানছেনা। গরু রাখার জায়গা নেই, এত গরু রাখবে কোথায়?
বিবিরহাট গরুবাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জয়নুল আবেদিন বলেন, আজ প্রধান বাজার হওয়ায় সকাল থেকেই বিক্রি চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ আছে।
বিবিরহাট গরুবাজারের হাসিল উত্তেলনকারী বাদশা মিয়া সিদ্দিকী বলেন, আজ সব্বোর্চ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি গরু বিক্রি হয়েছে। প্রতি হাজারে ৫০ টাকা হাসিল আদায় করছি আমরা।
যানজটে অতীষ্ট যাত্রী মো. রাসেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারছেনা। গরুবাজারের বিষয়ে কোন ট্রাফিক ঘোষণা ছিলনা। তারা যদি ঘোষণা দিত তাহলে এ রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল করতাম না। তাদের অবহেলার কারণে মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে।
Discussion about this post