বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম শহীদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচল ও দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে গত সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আদালত যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা হলো-<br /> ১. ঢাকা থেকে জেলা পর্যায়ে যাওয়ার জন্য সংযোগকৃত মহাসড়কের কার্যকরী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কের পাশের স্থাপনা অপসারণ। মহাসড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০১ এর ৮ বিধিতে স্থাপনা তৈরির অনুমতি প্রদান সংক্রান্ত সরকারের ক্ষমতা বাতিলে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।<br /> ২. মহাসড়কের দুর্ঘটনা রোধে আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির সুপারিশ সমূহ কার্যকর করতে নির্দেশ।<br /> ৩. চালকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির বিধান করা, আর এ বিধান ৫ বছর পর থেকে কার্যকরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।<br /> ৪. মহাসড়কের রোড ড্রাইভারশন তৈরি, পথচারী চলাচলে প্রয়োজনীয় স্থানে আন্ডারপাস, স্কুল সিলেবাসে ট্রাফিক রুলস এর বিষয় অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ।<br /> ৫. মোটর আইনের অপরাধীর সাজা, জরিমানা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ।<br /> ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে ঢাকায় ফেরার পথে এক সংসদ সদস্যের (এমপি) গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে এ হতাহতের খবর প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। হাইকোর্ট ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ রিটের রুল জারি করেন। সোমবার এ রুলের শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।</p>
Discussion about this post