রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার আরেক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। তার নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী (৩০)।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ২২টি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছে মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহিদ।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা ছাড়া জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী আরও যেসব হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও হত্যা, টাঙ্গাইলের দর্জি নিখিল হত্যা, পাবনার পূরোহিত নিত্তরঞ্জন পান্ডে হত্যা, রংপুরের মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা, কুষ্টিয়ার হোমিও চিকিৎসক সানাউর হত্যা, পঞ্চগড়ের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর হত্যা, দিনাজপুরের হোমিও চিকিৎসক ধীরেন্দ্রনাথ হত্যা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যা অন্যতম।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এর আগে, শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান।
উল্লেখ্য, হলি আর্টিজানে হামলার মাস্টার মাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ও অপারেশন কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজানসহ ৩৩জন পুলিশের জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নিহত হন।
জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট, রিপন, খালিদ, জুনায়েত, মুসা ও রাজীব গান্ধী ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। এর মধ্যে রাজীব গান্ধী নব্য জেএমবির উত্তর অঞ্চলের শাখা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
পুলিশ দাবি করেছে, রাজীব গান্ধী টাঙ্গাইলে আত্মগোপন করেছিলেন। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হলি আর্টিজান হামলার কথা স্বীকার করেছেন।
Discussion about this post