হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও, বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দিদের মামলা, নির্ধারিত সময়ে নিষ্পত্তি করতে পারেননি নিম্ন আদালত। জামিন পাওয়া এসব ব্যক্তির মামলা, ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা ছিলো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, পুলিশ সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হওয়ায় মামলা শেষ করা যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি বন্দি জামিন পেলেও, তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। হয়নি পুনর্বাসন।
বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে দুরে রাখা যে কতবড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝাবে? বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে এমনি ভাবে উঠে এসেছে বিনা বিচারে বন্দিদের প্রসঙ্গটি। যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে নিজের জেল জীবন সম্পর্কে বলেছিলেন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছর পর গত বছর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর জানা যায় দেশে বিনা বিচারে কারাবন্দি আছেন অসংখ্য মানুষ। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের সহায়তায় কারাগারে থাকা এসব মানুষদের মধ্যে প্রায় অর্ধশত মানুষকে জামিনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। মামলা গুলো শেষ করতে বলা হয় ৯০ দিনের মধ্যে।
অসহায় এসব মানুষদের মামলা গুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে কি না তা জানতে অনুসন্ধানে নেমে দেখা যায় আইনী জটিলতায় একটি মামলাও এখনো শেষ করতে পারেনি নিম্ন আদালত। কিন্তু কেন?
হাইকোর্ট সময় বেধে দেয়ার পরও এসব মামলা শেষ না হওয়ার কারনে হতাশ জেলা লিগ্যাল এইডের আইনজীবীরাও। তবে হতাশার কথা আছে আরও । বিনা বিচারে থাকা এসব মানুষদের কাউকে কাউকে সামাজিক ভাবে পূনর্বাসনের কথা বলে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সেই সাথে গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছিলেন ” যারা বিনা অপরাধে আটক রয়েছেন তারা সংশ্লিস্ট আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন”। তবে এর কোনটিই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কেউ চাইলে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন রাষ্ট্রের কাছে”। আর এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন চাইলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।
তবে এই মানুষগুলো হয়তো জানে না এসব মামলা ঘানি তাদের আর কতদিন টানতে হবে।
সূত্র: চ্যানেল ২৪
Discussion about this post