কুষ্টিয়ার জাসদ নেতা মারফত আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টে খালাস পাওয়া এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
বুধবার (০২ মার্চ) বিচারপাতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি সিরাজ মণ্ডলকে ২০০২ সালে হাইকোর্টের রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছিল। আর ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়ার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত সিরাজের ফাঁসি রায় দিয়েছিল।
এ ছাড়া আরো আট আসামিকে এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বিচারিক আদালত। তাদের সবাই হাই কোর্টের রায়ে খালাস পেয়ে যান। এদের মধ্যে কেবল সিরাজ মণ্ডলের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগের রায়ের সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আসামি সিরাজ সম্ভবত জামিনে আছেন। জামিনে থেকে থাকলে তাকে এই রায়ের পর আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জাসদ রব এর তৎকালীন নেতা মারফত আলী একসময় উত্তরাঞ্চলে কৃষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারের মধ্যে মিরপুর উপজেলর কুর্শা ইউনিয়নের ইশালমারী মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় সন্ত্রাসী দল সিরাজ বাহিনীর প্রধান সিরাজ মণ্ডলসহ এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত সব আসামিই চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন।
Discussion about this post