একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি* হাটজারীতে ব্যঙ্গের ছাঁতার মতো গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাইভেট স্কুল এন্ড কলেজ। পাশাপাশি কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে হোস্টোল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত পড়া লেখা শাসন ও শৃঙ্খলা নামে হাতিয়ে নিচ্ছে অবিভাবকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা আদায়ের অভিযোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাটজারীতে প্রতিটি অলি গলিতে আবাসিক ভবনে গড়ে উঠেছে অন্তত শতাধিক ব্যক্তি মালিকানাদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলা শিক্ষার পাশাপাশি আরবি শিক্ষার মাদ্রাসাও রয়েছে। আবার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে হোস্টেল। অত্যাধুনিক মানসম্মত সুবিধা ঘরোয়া পরিবেশে খাওয়া থাকা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ শতবাগ ভাল রেজাল্ট পাওয়ার নিশ্চিত প্রচারণায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভর্তি করেও যেন শান্তিতে নেই। নিয়ম নীতির পরোয়া না করেও গড়ে উঠা এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও হোস্টেল গুলো বিরুদ্ধে রয়ছে শিশু দের উপর শারিরীক ও মানশিক নির্যাতন। নিম্ন মানের শিক্ষক শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান। ভালো ফলাফলের আশা দেখিয়ে প্রতিযোগীতার নামে প্রতি মাসের মধ্যে ৫/৬টি প্ররীক্ষা নেওয়া হয়। নিম্ন মানের খাওয়া টাকার বিনিময়ে কতিপয় শিক্ষার্থীকে বাড়তি সুযোগ সুবিধা অতিরিক্ত হারে ফি আদায়সহ শিক্ষার্থীদের নানান অপরাধ কাজে জড়িয়ে পড়াসহ বহু অভিযোগ উঠেছে। উন্নত মানের সেবার কথা বলে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিথ্যাচারে ও করে যাচ্ছে। বাস্তব কথার সাথে কোন একটা মিল থাকেনা। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বহু প্রতিষ্ঠানের সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতিও নেই। এমন কি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি পর্যন্ত নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক জানান এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির নামে বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়। উচ্ছ হারে বেতন ও ফি আদায় করছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর খেলাধুলার নিজস্ব মাঠেও নেই। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিলেও সেদিকে স্থানীয় প্রসাশনের কোন তদারকি নেই। যার ফলে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরের জানুয়ারী মাস আসলে ছটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীর সন্ধানে নেমে পড়ে। হাটহাজারী বিভিন্ন অলিতে গলিতে এই সব প্রাইভেট স্কুল এন্ড কলেজ অবৈধ ভাবে খুলে অবিভাবকদেও কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছো ছাত্র ভর্তির নামে বিশাল অংকের টাকা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্তা না নিলে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা অন্ধকারের দিকে হেলে পড়বে বলে আসঙ্কা করছেন সশ্লিষ্টারা। পাশাপাশি অভিবাবকরাও বিশাল অংকের টাকা পরিষদ করা হতে রেহাইপাবে।
Discussion about this post