একে.এম নাজিম, হাটহাজারীঃ হাটহাজারী উপজেলার সর্বস্থরে চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। চড়া সুদের ফাঁদে পড়ে অনেক নিরহ মানুষ নানান ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। অবৈধ মাল্টিপারপাস ও স্বর্ণের দোকানদার, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এধরণের সুদের ব্যবসার কাজে দিনের পর দিন লেগেই আছে। এসব ব্যবসায়ীদের নির্যতানে ইতি মধ্যে বহু লোক পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি তাদের কর্মস্থল ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে অনেকেই। পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মত নামে বেনামে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে এসব মাল্টিপারপাস কোম্পানি গুলো। উপজেলার পৌর এলাকা রয়েছে অন্তত ২০/৩০ টির মত। তাছাড়া নিত্য নতুন মাল্টিপারপাস কোম্পানি অবৈধ ভাবে বড় বড় ব্যাংকের মত আলিসান অফিস ভাড়া নিয়ে মোটা অংকের লাভের প্রলোভন দেখায় গ্রাহকদেরকে। বেশির ভাগ গ্রাহক প্রবাসীদের স্ত্রী বলে কায়েকটি সূত্রে জানা গেছে। অনেক প্রবাসীদের স্ত্রী মাল্টিপারপাসের লাভের আসায় ডিপজিট রাখার পর এসব কোম্পানি উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের ডিপজিটের টাকা যে দুরের কথা লভ্যঅংশ ও পাইনি। এতে করে বহু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও দেখা দিয়েছে। এমনকি বহু স্ত্রী স্বামীর ঘর ছাড়া হওয়ার নজিরও রয়েছে। মাল্টিপারপাস নাম ধারী প্রতিষ্টানের লোকজন সহজ সরল পুজি হীন মানুষকে বিনিয়োগের নামে চড়া সুদের ব্যবসা শুরু করেছে এসব অবৈধ প্রতিষ্টান গুলো। তাছাড়া এসব কোম্পানি গুলো গ্রাহকদের কাছ হতে দুই কপি ছবি ও খালি স্টাম্প সই-স্বক্ষর নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার কথার বলে র্ণি দেয় এসব প্রতিষ্টান গুলো। পর্বতীতে গ্রাহকরা তাদের ডিপজিট টাকা তুলতে গেলে গড়িমসি করে অফিসে তালা লাগিয়ে চম্পট হয়ে যায়। পাশা-পাশি হাটহাজারীর স্বর্ণের দোকানদাররা স্বর্ণ বেচা-কেনার আড়ালে র্নিবিগ্নে চালিয়ে যাচ্ছে সুদের ব্যবসা। কয়েকজন স্বর্ণের দোকানের মালিক জানান, স্বর্ণ বিক্রয় এখন খুব কম চলছে। চলছে শুধু স্বর্ণ বন্ধকি। এই সুযোগে স্বর্ণের দোকানদাররা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত সুদের টাকা। উপজেলা জুড়ে রয়েছে ছোট বড় অন্তত দুই হাজারের অধিক স্বর্ণের দোকান ও এসব প্রতিষ্টান রয়েছে। তারা শুধু একাধারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দোকান ও প্রতিষ্টান গুলো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড-লাইসেন্স নিলেও তবে তারা সরকারী কোন রাজস্ব তেমন দিচ্ছে না। এসব মাল্টিপারপাস কোম্পানি ও স্বর্ণের দোকানদার হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ সরকারী রাজস্ব না দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভোক্তভুগীরা।
Discussion about this post