একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই হাটহাজারীতে ভেজাল ঘি তৈরিসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রয় করছে ইফতার সামগ্রী। এসবের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন একেবারেই চুপচাপ।
হাটহাজারী উপজেলাসহ পৌর এলাকার চারিদিকে চলছে ভেজাল ঘি’র ব্যবসা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার বিক্রি। বেগুনি, পেয়াজু, আলুচপ, অনথন, ছোলা, চিকেন ফ্রাই, কাবাব, চমুছা, বাকর খানি, জিলাপি, মরিচ্চাসহ সব কিছুতেই ব্যবহৃত হচ্ছে কাপড়ের রং। এসব ভেজাল কারবারিরা সাধারণ মানুষকে নানান রকম ইফতার সামগ্রীর সাথে কাপড়ের রং খাওয়াচ্ছে। ইফতার গুলোকে আকর্ষণীয় করতে এই রং মিশানো হচ্ছে। পাশা-পাশি পোড়া তেল ও পাম ওয়েল দিয়ে এই নাস্তা গুলো তৈরি করে দেদারছে বিক্রি করছে ধর্ম প্রাণ রোজা দারদের কাছে। তা ছাড়া মৌসুমি ফল গুলোতে নানা ধরণের বিষাক্ত রাসায়নিক ফরমালিন, কিটনাশক ও বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর বিষাক্ত ও ভেজাল দ্রব্য ব্যবহার করছে। এতে স্বাস্থ্য ও জিবনহানীর মত ঘটনা ঘটার সম্ভবনা ও রয়েছে। জন স্বাস্থ্যও কথা বিবেচনা করে সকল ভেজাল বন্ধ করতে দাবী জানিয়েছেন ধর্ম প্রাণ মুসলমান রোজাদাররা। চিকিৎসরা বলছে, সারাদিন রোজা থেকে এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খেয়ে বিভিন্ন পেটের সমস্যাই ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে ভেজাল ঘি দিয়ে ইফতার তৈরি করছে। এসব ভেজাল ইফতারি খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রোজাদাররা। বাজার তদারকিতে প্রশাসানের তৎপরতা থাকলেও কিন্তু ইফতার সামগ্রী তৈরির কারখানায় ও বিক্রির দোকানে এখনো কোন ধরণের অভিযান চালানো হয়নি। বিপুল পরিমাণ ঘি এর কারখানাও রয়েছে হাটহাজারীর বিভিন্ন অলিতে-গলিতে। চোরা ঘাপটা মেরে দেদারছে বাজারে ছাড়ছে এসব চোরা ঘাপটা ঘি ব্যবসায়ীরা। পামওয়েল দিয়ে ঘি তৈরি করছে। এমনকি তৈরি কৃত ঘি এর মধ্যে কাপড় ধোয়ার বাংলা সাবানও দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। রমজান মাসে উপজেলার প্রতিটি বাজারে ও বিভিন্ন স্থানে ইফতার সামগ্রী বিক্রয় কারীদের বিরুদ্ধে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা না করাই এই সব রঙ্গ ব্যবসায়ীরা ধাপটের সাথে ব্যাবসা করে মানুষকে বিপদে ফেলছে। বর্তমান রমজান মাসকে ঘিরে ব্যপরোয়া হয়ে উঠে ভেজাল খাদ্য বিক্রয় কারী কিছু অসুধা ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে পৌরশহরে অন্তত পক্ষে ৩০ টি হোটেলে অস্বাস্থ্যকর ও ভেজাল ঘি দিয়ে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেজাল ঘি দিয়ে হোটেল গুলোতে হালিম, সেমাই, বিরানি ভাত তৈ্ির করছে। বিভিন্ন গ্রাম ও মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাসি ইফতার সামগ্রী বিক্রয় করা হ”্ছ।ে এ ব্যপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) সাবেক চিকিৎসক ডাঃ সামশুলমাওলা ও হাটহাজারী উপজেলা সরকারী মেডিকেলের ডাঃ দেবাশীষ জানিয়েছেন, সারাদিন রোজা রেখে খালি পেটে ইফতারের সময় ভেজাল নাস্তা দিয়ে ইফতার করলে রোজাদারদের নানা রোগ দেখা দেয়। তার মধ্যে পেটের সমস্যসহ বেশির ভাগ ডায়রিয়া ও আমশা রোগ দেখা দিতে পারে। এসব প্রতিরোধের জন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে এমনকি পৌরসভার বিভিন্ন অলিতে-গলিতে প্রশাসনের চোকে ফাকি দিয়ে তৈরি করছে ভেজাল ঘি। এসব ঘি’র তৈরি কৃত স্থান তাদের ঘিয়ের পাত্রের লেভেলে উল্লেখ্য নেই এসব ভেজাল কারবারিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন ধর্ম প্রাণ রোজাদাররা।
Discussion about this post