বিডি ল নিউজঃ ১৯ মার্চ ভারত বনাম বাংলাদেশ। উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আবারো কি ২০০৭ নাকি ২০১২ এশিয়া কাপ নাকি অন্য কিছু? মুখ খুললেন ভারতের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। মাহি বাংলাদেশ নিয়ে বলার আগে বললেন তিনি চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিক। প্রশ্ন উঠতে পারে তাতে লাভ কি? বড় টার্গেট মানে ম্যাচ জয় অনিশ্চিত হয়ে যাওয়া। না, কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতকে লড়তে হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তুলনামূলক শক্তিশালী দল ভারতই। কিন্তু অনেকের মতে বাংলাদেশ এবার বিশ্বকাপে যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করছে তা সত্যিই অসাধারণ। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে মাশরাফিরা কোয়ার্টার ফাইনালেও জ্বলে উঠতে পারেন। তাছাড়া ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেই ভারত শেষ আটে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল।
সে জন্য ধোনিরা বেশ সতর্ক। জিম্বাবুয়ে প্রথম ব্যাটিং করে ২৮৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল। লক্ষ্যটা ভারতের জন্য মামুলি হলেও ৯২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়াতে ব্যাটিং লাইনে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। শেষ পর্যন্ত রায়না ও ধোনি ১৯৬ রান যোগ করেন। রায়না ১০৪ বলে ১১০ ও ধোনি ৭৬ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ছয় মেরেই ধোনি ভারতকে জয় এনে দেন। নিউজিল্যান্ডের মতো ভারতও গ্রুপে সবকটি ম্যাচ জিতল।
ম্যাচ শেষে ধোনি বলেন, সত্যি বলতে কি, আমি চেয়েছিলাম, জিম্বাবুয়ে বড় স্কোর গড়ুক। এতে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ঝালাই করে নিতে পারবে। তবে হাতে ৬ উইকেট থাকায় ব্যাটিং অনুশীলনটা সেভাবে হয়নি। রায়না চমৎকার ব্যাটিং করেছেন। বোলাররাও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তারা সব দলকে অল আউট করতে সক্ষম হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনাল প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই শক্তিশালী দল। বিশ্বকাপে তারা ব্যাটে-বলে সত্যিই ভালো খেলছে। তারা আমাদের ছেড়ে কথা বলবে না। সত্যি বলতে কি, বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে হারাতে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। প্রতিপক্ষ দলে বেশ ক’জন নামকরা খেলোয়াড় রয়েছেন। তাদের কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় অনুশীলনে সে পরিকল্পনা করব। নকআউট পর্ব ম্যাচ, হারলেই বিদায় এটা চিন্তা করেই ভারতকে মাঠে নামতে হবে।
Discussion about this post