বিডি ল নিউজঃ দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ভারতের শিলং-এ সন্ধান পাওয়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী ভারতের শিলংয়ে গিয়ে বলেছেন, আইনী প্রক্রিয়ায় তিনি তার স্বামীকে তিনি তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যেতে চান।
হাসিনা আহমেদ আজই মেঘালয় রাজ্যের ঐ শহরে গিয়ে পৌছার পর শিলং সিভিল হাসপাতালে তার স্বামীর সাথে দেখা করেছেন।
স্থানীয় সময় রাত পৌনে আটটার দিকে এই সাক্ষাতের সময় হাসিনা আহমদের সাথে বিএনপির কয়েকজন নেতাও ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছেন।
হাসিনা আহমদ পরে তার স্বামীর দেখাশুনো এবং চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাকে তৃতীয় কোন দেশে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা সে চেষ্টাই করবেন তিনি।
শিলং পৌছানোর পর হাসিনা আহমদ সেখানকার আইনজীবীদের সাথেও কথা বলেছেন।
এর আগে গত ১১ই মে – ঢাকা থেকে তার অর্ন্তধানের মাস দুয়েক পর – রহস্যজনকভাবে শিলংয়ে গিয়ে হাজির হন মি আহমেদ।
হাসপাতালে আজ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি, বরঞ্চ তার চোখ-হাত বেঁধে তাকে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
শিলংয়ের এক হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই তিনি সাংবাদিকদের সামনে একথা বলেন।
শিলং সিভিল হাসপাতালে বিচারাধীন বন্দীদের বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এই হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোস্বামীর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের আরো বলেছেন, তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে চান।
আজই হাসপাতালে মি. আহমদের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার পর ডা. ডি জে গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, মি. আহমেদ সুস্থ-স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। তার স্মৃতিভ্রম হয়েছে এমন কোন প্রমাণ পান নি চিকিৎসকরা।
শিলংএ মি. সালাহউদ্দিনের সন্ধান মেলার পর তার ‘স্মৃতিভ্রম হয়েছে’ – এমন বেশ কিছু খবর ঢাকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।
আজ তার কিছু মেডিক্যাল পরীক্ষার পর ডা. গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে জানান, মি. আহমদ সুস্থ-স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন, তার কথায় কোন অসংলগ্নতা দেখা যায় নি এবং তার কোন স্মৃতিবিভ্রাট ঘটেছে এমন কোন প্রমাণও দেখা যায় নি।
ডাক্তারী পরীক্ষার পর মি. আহমদ শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন এমন প্রত্যয়নপত্র পাওয়া গেলেই তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।
দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ১১ ই মে শিলংয়ে মি. আহমেদের খোঁজ পাওয়া যায়।সুত্র বিবিসি
Discussion about this post