চুক্তি মোতাবেক বরিশাল, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলার হিজড়া, উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ১৩৬ জন সুবিধাবঞ্চিতের মাঝে ১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে পিকেইউএস।
এর মধ্যে ১০জন হিজড়াকে ৫ লাখ টাকা, ১শ‘৫ শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সুবিধাবঞ্চিত ৬ জন নারীকে ৩ লাখ টাকা এবং রাখাইন নৃগোষ্ঠীর ১০জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার মাঝে সাড়ে ৭লাখ টাকা বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ প্রকল্পে মিডল্যান্ড ব্যাংককে ৫ শতাংশ সুদে অর্থায়ন করেছে।
মিডল্যান্ড ব্যাংক ২ শতাংশ মার্জিন রেখে ৭ শতাংশ সুদে পিকেইউএস’কে ঋণ দেবে।
আর উদ্যোক্তাদের মাঝে ১০ শতাংশ হারে এই ঋণ বিতরণ করবে পিকেইউএস।
মঙ্গলবার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৮ জন উদ্যোক্তাদের হাতে ঋণের টাকা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, দেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের। মানব উন্নয়ন ও ঝুঁকি দূর করতে পারলেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
গভর্নর বলেন, এজন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে এনজিওগুলোকে কাজ করতে হবে। এখন আর তেল মাথায় তেল না দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কথাও ভাবতে হবে।
বর্তমানে ১০লাখ বর্গাচাষীর মাঝে এনজিও লিংকেজ এর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এই ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ৬০শতাংশই নারী। মানবিক ব্যাংকিং এর এটি একটি উদাহরণ। এছাড়া নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য এই ঋণ একটি অভাবনীয় সুযোগ।
আতিউর রহমান বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। এর সফল বাস্তবায়ন হলে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নির্মল চন্দ ভক্তের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান উজ জামান, এসএমই অ্যান্ড স্পেশালিস্ট ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল কবির এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
Discussion about this post