বিডি ল নিউজঃ
সকাল পৌনে দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাবা সেলিম খানের সঙ্গে আদালতের পথে রওনা দিলেন সালমান। সঙ্গে বাবা সেলিম খান ও দাদা আরবাজ খান। সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর আদালতে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
সলমন খানের বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলায় আজ রায় দেবে মুম্বই দায়রা আদালত। দোষী সাব্যস্ত হলে, হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড।৩০৪-এর ২ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) দোষী সাব্যস্ত হলে দশ বছরের সাজা হতে পারে সলমন খানের। ৩০৪-এর ক ধারায় গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে জামিনযোগ্য অপরাধে অবশ্য আদালত থেকেই জামিন পেতে পারেন বলিউডের অভিনেতা। ৩ বছর অথবা তার বেশি সাজা হলে আদালত থেকেই গ্রেফতার হতে পারেন সলমন।
সবমিলিয়ে দীর্ঘ বারো বছরে বহু মোড় পেরিয়ে অবশেষে ক্লাইম্যাক্সের মুখে সলমন খানের গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলা।
২১ এপ্রিল এই মামলার শেষ শুনানির দিনে বিচারক নির্দেশ দেন, ৬ মে সকাল সোয়া এগারোটায় সলমন খানকে আদালতে হাজির হতে হবে। তাই গতকাল সন্ধেয় কাশ্মীর থেকে মুম্বই ফিরে আসেন সলমন। কাশ্মীরে তিনি ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ ছবির শ্যুটিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন।
রাতের দিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব। শাহরুখ রাত ১টা নাগাদ তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে আসেন। প্রায় ১ ঘন্টা কথা বললেন সলমন সহ পরিবারের সঙ্গে। এসেছিলেন ডেভিড ধাওয়ান, সঙ্গীতা বিজলানি. সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রমুখ। সলমনেকর বোন অর্পিতাও গিয়েছিলেন সলমনের সঙ্গে দেখা করতে। রাত থেকেই সলমনের বান্দ্রার বাড়ির সামনে ফ্যানেদের ভিড়। সবারই প্রার্থনা আদালতের রায়ে রেহাই মিলুক সলমনের।
কী অভিযোগ সলমনের বিরুদ্ধে? ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে মুম্বইয়ের একটি বেকারির সামনে কয়েকজন ফুটপাতবাসীকে পিষে দেয় সলমন খানের গাড়ি। মৃত্যু হয় একজনের। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটান সলমন। যদিও সম্প্রতি আদালতে সলমন দাবি করেন, সেই রাতে তিনি মদ্যপান করেননি এবং দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর চালক অশোক।
এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সলমনের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। সেক্ষেত্রে বলিউডের একাধিক প্রযোজকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে। কারণ, সলমন খানের উপর এই মুহূর্তে ২০০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সুরজ বারজাতিয়ার ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ এবং কবীর খানের ‘বজরঙ্গী ভাইজান’। ইতিমধ্যেই ছবি দু’টির শ্যুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে আদালত কী রায় দেয়, সেদিকেই নজর বলিউড সহ গোটা দেশের।”এবিপি আনন্দ
Discussion about this post