প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকার বজায় রাখার জন্য ‘উত্তরাধিকার আইন’ প্রণয়ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি একতাবদ্ধ হয়ে এই উত্তরাধিকার আইন করতে চান, আপনারাই মিলিতভাবে আইনটা করে দেবেন, যেহেতু আপনাদের ধর্ম। আমরা এটা পাশ করে দেব, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা আপনাদেরকেই করতে হবে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের যেটা সমস্যা আপনাদের কোনো উত্তরাধিকার আইন নাই, সূত্র নাই-এটাতো ঠিক, একজন মারা গেলে তাঁর স্ত্রী সম্পদের উত্তরাধিকার পাবে না বা ছেলে-মেয়ে পাবে না, সে অসহায়ের মতো ঘুরে বেড়াবে। সম্পত্তি থাকতেও ভোগ করতে পারবে না, জীবন চালাতে পারবে না, এটা হতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তাই উদ্যোগ নিয়েও আপনাদের কারও কারও বিরোধিতার কারণে থেমে গিয়েছিলাম। এটা হলো বাস্তবতা।
শেখ হাসিনা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দেখেছেন আপনাদের অনেক কিছুই চাইতে হয়নি। আমরা যেটা প্রয়োজন মনে করেছি, তা সঙ্গে সঙ্গে করে দিয়েছি। আমরা যখন ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করলাম সঙ্গে সঙ্গেই হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের জন্য সেই কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি। সকলের কল্যাণেই এই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
পূজার সময় বিদেশ থেকে রাধা কৃষ্ণের মার্বেলের মূর্তি আমদানি শুল্কমুক্ত করার বিষয়ে অনুষ্ঠানে তোলা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ঢালাওভাবেতো আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই। কিন্তু যখন যার আমদানির প্রয়োজন হবে, সে এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কাছে লিখিতভাবে আবেদন করলে তাকে অনুমতি দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজ, চট্টগ্রাম ঋষিধাম আশ্রমের প্রধান সুদর্শনানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে জয়ন্ত সেন, দেবাশীষ পালিত, রমেশ ঘোষ, ডিএন চ্যাটার্জি, চন্দন তালুকদার, তাপস কুমার পালও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post