কুকুর লেলিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলার রায় ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। দুই দফা পেছানোর পর রোববার (১৪ আগস্ট) এ মামলার রায় দেয়া হবে বলে আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু ফুল কোর্ট রেফারেন্সের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রায় ঘোষণা করতে পারেননি বিচারক চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরুল ইসলাম।
এর আগে গত ২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) প্রথম রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় সেদিন রায় ঘোষণার সময় পিছিয়ে ১১ আগস্ট নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।
গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং রিয়াদের তিন বন্ধু শাহাদাৎ হোসাইন সাজু, মাহাবুব আলী খান ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওন।
এদের মধ্যে শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাৎ হোসাইন সাজু ও মাহাবুব আলী খান ড্যানি বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকী দুই আসামি জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও জাহিদুল ইসলাম শাওন পলাতক আছেন।
Discussion about this post