চাঞ্চল্যকর হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলায় আদালতে সব ধরনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বহুল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
শনিবার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরুল ইসলাম মাণিক রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।
অতিরিক্ত মহানগর পিপি অনুপম চক্রবর্তী জানান, হিমু হত্যা মামলায় যাবতীয় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ জুলাই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া হিমু হত্যা মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি শাহ সেলিম টিপু ও শাহাদাৎ হোসাইন সাজুকে আদালতের নিদের্শে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে মাহাবুব আলী খান ড্যানি আগে থেকেই কারাগারে আছেন। বাকী দুই আসামি জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও জাহিদুল ইসলাম শাওন পলাতক আছেন। এদের মধ্যে রিয়াদ শুরুতে কারাগারে থাকলেও পরে পলাতক হন। আর শাওন শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন।
এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।
গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং রিয়াদের তিন বন্ধু শাহাদাৎ হোসাইন সাজু, মাহাবুব আলী খান ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওন।
২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৮ অক্টোবর পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে প্রায় সাড়ে ১০ মাস পর ২৮ জুলাই রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।
Discussion about this post