হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২৪ অক্টোবর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ওই ছয় আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী তাপস কুমার পালবলেন, ‘কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ৬ আসামিকে তাদের অভিযোগ পড়ে শোনালে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।’
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, তানভীর আহমেদ, তৌহিদুল আলম ওরফে চঞ্চল, সাইফুর রহমান ওরফে রাজিব, কাজী মোরশেদুল হক এবং মো. আবু ইউসুফ আলী। এদের মধ্যে মোরশেদুল হক দলের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বাকিরা দলের সদস্য।
জানা যায়, আসামিদের মধ্যে তৌহিদুল আলম চঞ্চল জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল উত্তরা থানাধীন তিন নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর রোডের তাকওয়া মসজিদের সামনে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরিরের সদস্যরা সরকার বিরোধী লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করে এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সেখানে পেট্রোল বোমা নিয়ে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় তানভীর আহমেদ, সাইদুর রহমান রাজীব এবং তৌহিদুল আলমকে পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পরে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা দলের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিনের প্ররোচনায় সেখানে উপস্থিত ছিলো বলে জানায়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে উত্তরা মডেল থানার এসআই মো. আরমান আলী বাদী হয়ে তৎকালীন উত্তরা থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুল আমিন ছয় আসামিকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করেন।
Discussion about this post