ডেস্ক রিপোর্টঃ
হিরো আলমের বিরুদ্ধে “সাহসী হিরো আলম” সিনেমা তে পার্শ্ব চরিত্রে জুনিয়র আর্টিস্ট হিসাবে অভিনয়কারী মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশা কে অভিনয় করাবার পরে চুক্তিভুক্ত শুটিংয়ের টাকা চাওয়াতে মারধর সহ উক্ত জুনিয়র আর্টিস্ট এর চেন ও হাত ঘড়ি চুরির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব জসিম উদ্দিন, উক্ত জুনিয়র আর্টিস্ট মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষে নিয়োগকৃত এডভোকেট জনাব রিজভী হাসান পরশ এবং এডভোকেট জনাব মকিম মন্ডল, বিডি ল’ নিউজ কে জানান যে, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ভিকটিম- জুনিয়র আর্টিস্ট মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশা একটি মামলা করেছেন মারধর, চুরি এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে । আদালত মামলাটি শুনানি শেষে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।”
মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশা বিডি ল’ নিউজ কে জানান যে, আমি হিরো আলমের সঙ্গে ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিতে দ্বিতীয় খলনায়ক হিসেবে অভিনয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকায় চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী, গাজীপুরের মনপুরা শুটিং স্পটে অভিনয় করতে যাই। সেখানে কিছুদিন অভিনয় করি। এর মধ্যে ঢাকায় আসার সময় হিরো আলম আমার হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, “বাকি টাকা পরে দেব। আমি বাসায় এসে কিছুদিন পর তার মোবাইলে ফোন দেই। তিনি ফোনে আমাকে বলেন,কিসের টাকা পাবি তুই। তুই কোনো টাকা পাবি না।”
মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশা কে বিডি ল’ নিউজ কে জানান যে জানান যে আরো বলেন, “এরপর হিরো আলম আমার ফোন ধরত না। গাজীপুরে ছবির শুটিংস্থলে টাকা চাইলে হিরো আলম আমাকে শুটিংয়ের দা দিয়ে আঘাত করে,কিল-ঘুষি মারে। আমি সেখান থেকে চলে আসি। এরপর ১৯ জুন এফডিসিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাই। হিরো আলম আমাকে সেখানে মারধর করেন। হিরো আলমের লোকজনের ভয়ে আমি জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। তাই আমি আদালতে মামলাটি করি।”
Discussion about this post