বিডি ল নিউজঃ পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে নিগৃহীতার মৃত্যু। মেনিঙ্গো এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে আজ ভোররাতে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর, জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। গত এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন পার্কস্ট্রিটকাণ্ডের নিগৃহীতা। প্রথমে তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর অবস্থার অবনতি হওয়ায়ে নিগৃহীতাকে স্থানান্তরিত করা হয়। গত তিনদিন ধরে তিনি স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ভর্তি ছিলেন। আজ ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এখন তাঁর দেহ পিস হেভেনে শায়িত আছে। আজই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। আপাতত তাঁরা নিগৃহীতার মায়ের তত্ত্বাবোধানে রয়েছে।
তাঁর মৃত্যু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সমীর আইচ বলেছেন, হারিয়ে গেল প্রতিবাদের মুখ। শাস্তি হোক দোষীদের। প্রতিবাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, প্রতিক্রিয়া বোলানের। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি, প্রতিক্রিয়া মীরাতুন নাহারের।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক রাতে পার্কস্ট্রিটের এক নাইট ক্লাব থেকে বেরিয়ে চল্লিশ বছর বয়সি এই মহিলা একজনের গাড়িতে লিফট নেন। গাড়িতে ওঠার পরই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর তাঁকে ফেলে দিয়ে চলে যায় গাড়ির আরোহীরা। এরপরই সারা বাংলা উত্তাল হয়ে ওঠে এই ধর্ষণকাণ্ডে। প্রতিবাদ, মিছিলে ভরে ওঠে শহরের রাস্তা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে নিগৃহীতার অভিযোগকে সাজানো ঘটনা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সমাজের সর্বস্তরে শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন, বয়ে যায় সমালোচনার ঝড়।
তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছিলেন, তিনি একজন যৌনকর্মী এবং ধর্ষণ হয়েছিল কারণ, তার এবং খদ্দেরের মধ্যে সমস্যা হওয়ায়।
দুটি সন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন সময় না না সমস্যায় পরতে হয়েছে পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের নিগৃহীতাকে। আপাতত তিনি একজন অনলাইন কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি মূলত সেই সমস্ত মহিলাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন যাঁরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন। তবে সব লড়াইয়ের শেষে আজ তিনি নিজের জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে হেরে গেলেন।
সূত্রঃ এবিপি আনন্দ
Discussion about this post