নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১৪টি কেন্দ্র দখল, মারামারি, এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটার উপস্থিত একবারেই কম।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরার আই ই এস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ১৩১৮টি কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত ১৪টি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও কুর্মিটোলার অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর তা সমাধান করেছেন। তবে, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছিল বাড্ডাতে। বিজিবি অতিরিক্ত র্যাব পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে আবুল কাসেম বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম রয়েছে। আশা করছি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে।
আজ ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা।
Discussion about this post