বিডি ল নিউজঃ দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি হচ্ছে, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড। কিন্তু, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আজ এর কার্যক্রম স্থগিত। চলছে মামলা। দুইটি দুর্নীতির মামলায় ডেসটিনির এমডি মো. রফিকুল আমীনসহ ৫১ আসামির বিরুদ্ধে আগামী ১৫ জানুয়ারি চার্জ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইমরুল কায়েস এই তারিখ ধার্য করেন। প্রায় চার ৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের ওই মামলাগুলোয় পলাতক ৪৬ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত প্রতিবেদন দাখিল হওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়। এরআগে গত ১১ জুন একই আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে পলাতক ৪৬ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামিরা পলাতক আছেন মর্মে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল হওয়ায় পরে আদালত আসামিদের হাজির হতে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়।
পলাতক আসামিরা হলেন, ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, সাঈদুল ইসলাম খান (রুবেল), মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন) ও মো. শফিকুল হক। অপর আসামিদের মধ্যে এমডি মো. রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম ও মো. জিয়াউল হক মোল্লা কারাগারে আছেন এবং একমাত্র আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ জামিনে আছেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মামলা উক্ত আসামিরাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি দায়ের করেন। চার ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ গত ৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক ২টি চার্জশিট দাখিল করেন। তবে, একটা মজার ব্যাপার হল, অন্য কোন কোম্পানির অনিয়মের খবরে এর ভোক্তা বা গ্রাহকরা যেভাবে অভিযোগ করতে শুনা যায়, তেমনটা ডেসটিনির ক্ষেত্রে ঘটেনি। অনেকদিন ব্যবসা চলছে না, তারপরও কাউকে মাঠে নামতে এখনো দেখা যায় নি। এর আসল কারন বুঝা যাচ্ছে না। দুদক যদি দুর্নীতি দেখেই থাকে, তবে যাদের টাকা অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলা হল, তাদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই, এটা সত্যি অস্বাভাবিক।
Discussion about this post