ভারতে বিবাহিত । এই অবস্থানে থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি জি রোহিনী ও বিচারপতি সংগীতা ধিগরা সেহগালের ডিভিশন বেঞ্চে এই হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্রীয় সরকার।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় বলা হয়েছিল, কোনো পুরুষ যদি ১৮ বছরের নিচের কোনো মেয়ের সঙ্গে তার সম্মতিতেও শারীরিক সংসর্গ করে, তাহলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। পরে ৩৭৫ ধারায় ২ নম্বর সংশোধনী এনে বলা হয়, ১৫ বছরের বেশি বয়সী বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে স্বামীর শারীরিক সংসর্গ ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না।
সংশোধিত এই ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে মামলা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরআইটি ফাউন্ডেশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়ে গতকাল দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্রীয় সরকার।
হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশে বিয়ের বয়স ১৮ বছর। এখানে বাল্যবিবাহে উৎসাহও দেওয়া হয় না। তারপরও দেশের শিক্ষাগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ পরিবার ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই ওই মেয়ে তার স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গে লিপ্ত হয়। এ কারণেই কোনোভাবেই এ বিষয়টিকে ধর্ষণ বা অপরাধ বলা যাবে না।
হলফনামায় আরও জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫-এর সংশোধিত ২ নম্বর ধারায় ১৫ বছরের বেশি বয়সী স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর শারীরিক সংসর্গকে ছাড় দিতে চায়।
এ বিষয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
Discussion about this post