সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে চিকিৎসার নামে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কমর উদ্দিন ওরফে চাঁন মিয়া কবিরাজ ও তার স্ত্রী সুমি বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী সরিষপুর এলাকার এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, চাঁন মিয়া সরিষপুরের আছদ্দর ম্যানশনে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকেন। ‘সিফা তদবিরালয়ের’ আড়ালে নানা অপকর্ম করছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এসময় কবিরাজের বাসার একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে নির্যাতিতা তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে নির্যাতিতা তরুণীর মা বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
তরুণীর মায়ের অভিযোগ, চিকিৎসার নামে বিভিন্ন তরুণীকে ওই কবিরাজ ধর্ষণ করেছেন। নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া তার বড় মেয়েকে সুস্থ করতে পারবেন বলে চ্যালেঞ্জ করে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে আটকে নির্যাতন করেছেন তিনি।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, নির্যাতিত তরুণীর মা অভিযোগ দেয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়ায় স্ত্রীসহ ওই কবিরাজকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post