১৯৯৭ সালের ০২ জুলাই। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বেলা ১১টায় স্ত্রী শেফালি বেগম ওরফে কহিনুরকে (২৩) কুপিয়ে হত্যা করেন তার স্বামী বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার সানু হাওলাদার। পরের বছরের ২৮ আগস্ট এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হয় সানুর। সেই থেকে কনডেম সেলে সানু।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সানুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে আমৃত্যু কারাবাসের আদেশ দেন। আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়ায় তাকে এখন সাধারণ সেলে নিয়ে রাখবে কারা কর্তৃপক্ষ।
তবে আসামির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারেই থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
কহিনুর হত্যায় তার বাবা নূর খালেক বরগুনার আমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৯৯৮ সালের ২৪ আগস্ট বিচারিক আদালত আসামি সানু হাওলাদারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সানু আপিল করেন। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে।
শুনানি শেষে ২০০২ সালের ১৯ জুন বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে খালাস চেয়ে আপিল করেন সানু।
আপিলের ১৩ বছর পর মঙ্গলবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাবাস দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
Discussion about this post