আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন-২০১২ কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক। সরকার এ আইন কার্যকর করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের নতুন আইনে ভ্যাট দিতে হবে বলে জানান সভাপতি।
বুধবার (১৫ মার্চ) সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এসময় কমিটি সদস্য মো. ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে সরকার ২০১২ সালে ভ্যাট আইন প্রনয়ণ করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ পর্যন্ত এ আইনের বাস্তবায়ন করা যায়নি। প্রতিবছর বাজেট আসলেই অর্থমন্ত্রী এ আইনের দু’একটি অংশ তুলে ধরে বলেন ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে, কিন্ত আজ পর্যন্ত তা হয়নি। আর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও এ আইনের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন।
তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নতুন ভ্যাট আইনেই ভ্যাট দিতে হবে। তবে তার আগে কিছু সংশোধন আনা হবে।
তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন করার পর ব্যবসায়ী মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল ৩০ লাখ পর্যন্ত আয়কে ভ্যাট থেকে অব্যহতি দিতে হবে। আবার কেউ বলেছিলেন ৫০ লাখ পর্যন্ত, পরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৩০ লাখ পর্যন্ত আয় ভ্যাটমুক্ত থাকবে। এবারও ব্যবসায়ীরা সে দাবি করছেন।
রাজস্ব এবং জাতীয় আয়ের গড় পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের সর্বনিন্ম উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, আমাদের রাজস্ব ও জাতীয় আয়ের গড় শুধু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নয়, সারাবিশ্বে সর্বনিন্ম।
এসময় তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল, ভারতের উদাহরণ টেনে বলেন, নেপালে রাজস্ব ও জাতীয় আয়ের গড় ১৪-১৫ ভাগের কাছাকাছি। আর ভারতে ১৭-১৮ ভাগের কাছাকাছি। আমাদের ছিলো ৭ ভাগের কাছাকাছি। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর তা বেড়ে ১১ ভাগের কাছাকাছি এসেছে। তারপরেও বিশ্বে সর্বনিন্ম। তাই রাজস্ব আয় বাড়াতে ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে।
রাজ্জাকের সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং আখতার জাহান বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) প্রতিনিধি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধি, ঢাকা দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধি, প্লাস্টিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং মেট্রোপলিটনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post