বিডি ল নিউজঃ ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধে নামার মতো প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র বা গোলাবারুদ নেই। এই অভিযোগ খোদ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল (ক্যাগ)-এর।
এক ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে কোনও শত্রুদেশের তীব্র লড়াই বাঁধে, তাহলে দেশের সামরিক বাহিনী সেই যুদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে চালাতে পারবে না। ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, দেশের অস্ত্রভাণ্ডারে যা অস্ত্র মজুত রয়েছে, তা দিয়ে ২০ দিনের বেশি যুদ্ধ চালানো সম্ভব নয়। ক্যাগের সুপারিশ, এক্ষেত্রে অস্ত্রভাণ্ডারের এই অপ্রতুলতার দ্রুত মোকাবিলা করতে হবে। এমন পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত রাখতে হবে যাতে অন্তত ৪০ দিন যুদ্ধ চালানো সম্ভব। আরও জানানো হয়েছে যে, সামরিক বাহিনীর ভাণ্ডারে যে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র রয়েছে, তার ৫০ শতাংশই প্রথম ১০ দিনে শেষ হয়ে যাবে। কেন এই অবস্থা? ক্যাগের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (ওএফবি)-এর অপারগতাই এর জন্য দায়ী।
শুধু তাই নয়। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) ‘তেজস’ নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে ক্যাগ, তাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুড়ো হয়ে যাওয়া রুশ-নির্মিত মিগ যুদ্ধবিমানগুলিকে এই তেজস বিমান দিয়েই প্রতিস্থাপন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি, এর জন্য ১৩,৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। ক্যাগের রিপোর্ট সরকারের সেই ভাবনাচিন্তায় বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে। ৬৩-পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘তেজস-মার্ক ওয়ান’ বিমানটিতে অন্তত ৫৩টি প্রধান ত্রুটি রয়েছে, যা ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রে বিমানচালকদের সমস্যায় ফেলতে পারে এমনকী প্রাণঘাতী প্রমাণিত হতে পারে। ক্যাগ আরও জানিয়েছে, বারবার তেজস প্রকল্পটি বিভিন্ন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে বায়ুসেনাকে বাধ্য হয়ে অন্যান্য বিমানগুলির অত্যাধুনিকীকরণ করতে হয়েছে। এর ফলে সরকারের ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।
তবে, ক্যাগের রিপোর্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, ভারত নিরাপদ রয়েছে এবং থাকবে।”এবিপি আনন্দ
Discussion about this post