নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা পরিশোধ না করায় গ্রিনলাইন পরিবহনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে ওই পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারানো প্রাইভেট কারের চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা দিতে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এবং এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেবেন বলেও জানিয়েছেন আদালত।
এর আগে, রাসেলের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পরিশোধের আদেশ দেন গ্রিনলাইন পরিবহনকে। আদালতের একাধিক তাগাদার পর গত ১০ এপ্রিল ক্ষতিপূরণের ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছিল গ্রিনলাইন। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য ২২ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন আদালত।
আদালতের নির্ধারিত আজকের তারিখ পর্যন্তও ক্ষতিপূরণের বাকি টাকার কিছুই পরিশোধ করেনি গ্রিনলাইন। এ বিষয়ে আদালতের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগও করেনি তারা। আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রিনলাইন ক্ষতিপূরণের এই টাকা পরিশোধ না করায় তাতে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সময় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আদালতের উদারতাকে দুর্বলতা হিসেবে নেবেন না।’ পরে আদালত রাসেল সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা পরিশোধের জন্য গ্রিনলাইন পরিবহনকে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। আদালত আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবেন।
এদিকে, গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি উল্লেখ করে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ ওকালতনামা থেকে না প্রত্যাহার চেয়ে আদালতকে বলেন, পরিবহন কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করেনি। আমি আর গ্রিনলাইনের পক্ষে থাকব না। ওকালতনামা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি।
এসময় আদালত বলেন, আপনি জানিয়েছেন, নোট রাখলাম। এখন নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করুন। আমরা দেখব।
পরে রাসেল সরকারের আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা সাংবাদিকদের বলেন, গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছে। কিন্তু আজ তাদের ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও তারা এ বিষয়ে কোনো যোগাযোগই করেনি। এতে আদালত গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানিয়েছেন।
Discussion about this post