মাত্র ২৫ বছর বয়সেই অধিকাংশ সময় তাকে কাটাতে হয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। এর মধ্যে চিকিৎসকরা শতবার তার শরীরে কাঁচি দিয়ে কাঁটাছেঁড়া করেছেন। তারপরও মেয়েটির প্রার্থনা চিকিৎসক যেন তার হাতটি না কাটেন!
জটিল চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে লাহোরের শেখ জায়েদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফউজিয়া ইউসূফ। মাত্র আট বছর বয়সেই ‘ফিব্রোমেটোসেস’ রোগে আক্রান্ত হন ফউজিয়া। হাড়ের পাশে নরম টিস্যুতে এ রোগ যেকোনো বয়সেই হতে পারে বলছে চিকিৎসাবিজ্ঞান।
রোগ থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা তার আক্রান্ত বাম হাত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে ফউজিয়া বলেন, আমি আরো অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত। তবুও যেন আমার হাতটি না কাটা হয়।
আর হাত ছাড়া বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়, হাসপাতালের বিছানায় এমনটি কামনা করছেন ফউজিয়া।
এদিকে, বাম হাত থেকে রোগের বিস্তার ঘাড় ও শরীরে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল আমার দ্বিতীয় ঘর উল্লেখ করে ফউজিয়া বলেন, যুদ্ধ করে বেঁচে থাকলেও হ্যান্ডিকেপড পারসন হয়ে বাঁচতে চাই না।
প্রতি মাসে ওষুধ বাবদ ফউজিয়ার জন্য ১৫ হাজার রুপি (পাকিস্তানি) ব্যয় হয়। এজন্য যারা সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর শফিক আহমেদ বলেন, চিকিৎসাশাস্ত্রে এ ধরনের ঘটনা বিরল। উদ্বেগের বিষয় এই রোগটি তার পায়েও ছড়িয়ে পড়ছে, যেখান থেকে প্রতিবার অস্ত্রোপচারের পর চামড়া এনে হাতে লাগানো হয়।
তবে বারবার অস্ত্রোপচারের কারণে কার অবস্থা প্রতিনিয়ত জটিল হয়ে পড়ছে বলেও জানান চিকিৎসক।
Discussion about this post