বিডি ল নিউজঃ দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বরাতে বিবিসি খবর জানিয়েছে।
লি জিসুন নামের ওই শিক্ষক ২০১১ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে গানসু প্রদেশের একটি গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতাকালে এই অপরাধগুলো করেন।
যৌন নিপীড়নের শিকার ওই কন্যাশিশুদের বয়স ৪ থেকে ১১ বছরের মধ্যে ছিল বলে এক বিবৃতিতে দেশটির সুপ্রিম পিপলস কোর্ট এই তথ্য জানিয়েছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই বিবৃতিকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৭ হাজারেরও বেশি শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে যা ক্রমেই বাড়ছে।
লি ২১ কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করেছেন এবং অন্য পাঁচজনকে শ্রেণিকক্ষে, ডরমেটরিতে এবং বনবেষ্টিত গ্রামেটিতে যৌনপীড়ন করেছেন। গ্রামটি উশান শহরের কাছে অবস্থিত।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কোনো কোনো কন্যাশিশুকে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ ও যৌনপীড়ন করেছেন। তবে সেই সংখ্যা কত তা বিবৃতিতে বলা হয়নি।
তার এই কর্মকাণ্ড ‘সমাজের ওপর চরম হুমকি’ বলে বর্ণনা করেছে গানসু আদালত। আদালত আরো বলেছে, মাত্র একবছরেই তিনি এই অপরাধগুলো ঘটিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সুপ্রিম পিপলস কোর্ট বিশ্বাস করে লি জিসুনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়াই যথাযথ।চীনের ম্যাক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম উইবোতে তার মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় ব্যাপকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
নিপীড়নের শিকার শিশুদের বয়স অনেককেই ভীষণভাবে আহত করেছে।
একজন লিখেছেন, “চারবছর বয়স? আমি বিশ্বাস করতে পারছি না”। অপর একজন লিখেছেন, “মৃত্যুদণ্ড এই মানুষের জন্য বেশি ভালো শাস্তি হয়ে গেল।”
২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সুপ্রিম পিপলস কোর্টে ৭,১৪৫ টি শিশু যৌনপীড়নের অভিযোগ এসেছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
Discussion about this post