সাভারে দুই মডেলকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স লিটন আলী মণ্ডলকে (৩৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকালে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরখলসী গ্রাম থেকে তাকে ধরেছে পুলিশ। এই গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির। তিনি জানান, লিটনকে এখন সাভার মডেল থানার হেফাজতে আছে। বুধবার (১২ জুলাই) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি মহসিনুল।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনার পর ভবনের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে পালিয়ে যায় লিটন ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর ওরফে রেজাউল। তারা ভাড়া থাকতো ধর্ষণের ঘটনাস্থল ওই ভবনের ষষ্ঠ তলার একটি কক্ষে। দুটি পৃথক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতো তারা। এই পরিচয় দিয়েই তারা ভবনের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে পালিয়ে যায়।
গত ৬ জুলাই দিবাগত রাতে সাভারের ডিবি কার্যালয়ের পাশের লিজেন্ড কলেজের ভবনে ধর্ষণের শিকার হন দুই তরুণী। মিউজিক ভিডিওর মডেল বানানোর কথা বলে তাদের মোবাইল ফোনে ডেকে এনে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। পরদিন ৭ জুলাই ভোরে তাদের ওই ভবন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ভবনের দুই নিরাপত্তাকর্মী মোকারম হোসেন (১৯) ও মিজানুর রহমানকে (২৮) আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে মিজানুর ভবনটির নিরাপত্তা প্রহরী ও মোকারম কেয়ারটেকার। মোকারম হলো কুড়িগ্রাম জেলার ভুড়িমাড়ী থানার সখিপুড়ী গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। আর মিজানুর দিনাজপুর জেলার বিরল থানার সৈয়দপুর এলাকার ছফি উল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় ওইদিন বিকালে সাভার মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন এক তরুণী। মামলায় দুই নিরাপত্তাকর্মী মোকারম ও মিজান এবং ডিবি পুলিশের সোর্স লিটনকে আসামি করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিটনই এই ঘটনার মূলহোতা। সে ঝিনাইদাহ জেলার সদর থানার গোসালপুর এলাকার শমসের আলী মণ্ডলের পুত্র। তবে তার সহযোগী জাহাঙ্গীরকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Discussion about this post