তুরস্কে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা দায়ের করে অভিযোগও গঠন করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে দুই সাংবাদিকেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ ও ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য প্রকাশ’ করার অভিযোগ তোলা হলেও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম বলছে, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে খবর প্রকাশ করায় ওই সাংবাদিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সিরিয়াগামী একটি ট্রাকে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অস্ত্র পাঠাচ্ছিল বলে গত ২৯ মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে কামহুরিয়াত। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ট্রাকে কোনো অস্ত্র ছিল না, বরং সিরিয়ায় থাকা তুর্কিভাষী সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য ত্রাণ সহায়তা ছিল।
এ ঘটনায় তুরস্কজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোয়ান কামহুরিয়াতের প্রতিবেদনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন, সরকারের পক্ষ থেকে সিরিয়ার তুর্কিভাষীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছিল। আর এটাকে তারা বলছে অস্ত্র সরবরাহের ট্রাক। তারা গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। এজন্য তাদের কড়া মূল্য দিতে হবে।
এরপর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে খোদ প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানই ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সে মামলায়ই বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করে অভিযোগ গঠন করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামহুরিয়াতের প্রধান সম্পাদক দুনদার আদালত প্রাঙ্গণেই দাবি করেন, রাষ্ট্র কখনোই চায় না তার গোপন কার্যক্রম প্রকাশ্যে আসুক, কিন্তু কামহুরিয়াত এনেছে। এ কারণে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে।
Discussion about this post