জিজ্ঞাসাবাদে রবিন্দর ওই শিশুদের ধর্ষণ ও হত্যার যে বিবরণ দেয় তাতে পুলিশও শিউরে উঠেছে। ওইসব শিশুদের সবার বয়স ১৪ বছরের কম ছিল।
সোমবার দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার বিক্রমজিৎ সিং বার্তা সংস্থা আইএএনএস কে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে তার বর্ণনা শুনে আমার হৃদয় বার বার ভীষণভাবে কেঁপে উঠছিল। আমি কিসের ভেতর দিয়ে গিয়েছি সেটা ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না।”
দিল্লি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নারেলা, বাওয়ানা এবং আলিপুরের শিশুরাও তার শিকার হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে রবিন্দর। তদন্তের জন্য পুলিশ তাকে নিয়ে ওই সব স্থানে গিয়েছে।
বিক্রমজিৎ সিং বলেন, “এর সাহায্যে ঠিক কতজনকে সে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে তার সঠিক সংখ্যা আমরা বের করতে পারবো।”
“আমি নিজে এই মামলাটি নজরদারি করছি। তদন্তে এখন পর্যন্ত আমরা যা পেয়েছি তাতে মনে হচ্ছে নিহত শিশুদের সংখ্যা ৪০ হবে।”
গত পাঁচ বছরে বিজয় নগর, বাওয়ানা, নারেলা, আলিপুর, বেগমপুর, কানঝাওলা, সময়পুর বাদলি ও এর আশেপাশের এলাকায় যতগুলো শিশুর নিখোঁজ হবার অভিযোগ থানায় দাখিল হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
২৪ বছর বয়সী রবিন্দর জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের ঘৃন্য কৃতকর্মের জন্য কোনো ধরণের অনুশোচনা প্রকাশ করেনি।
১৭ বছর বয়স থেকে সে এই ঘৃন্য অপরাধ করা শুরু করে। ২০০৯ সালে বিজয় বিহার এলাকা থেকে সে একটি বালককে অপরহণ করে এবং তাকে যৌন নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
শিশুটির পরিবার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবে রবিন্দর ছাড়া পেয়ে যায়।
পুলিশকে রবিন্দর জানায়, ধর্ষণের সময় বাধা দেয়ায় বা তাকে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ায় সে ১১টি শিশুকে হত্যা করেছে। সাধারণত বিকালে বা খুব ভোরে সে এই অপরাধ করতো।
বিক্রমজিৎ বলেন, “সে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গিয়ে বাড়ির বাইরে থাকা শিশুদের প্রথমে চকলেট বা টাকার লোভ দেখিয়ে অপরহণ করার চেষ্টা করতো। যদি কেউ যেতে রাজি না হতো তবে সে তাদের জোর করে তুলে নিয়ে যেত।”
“ধর্ষণের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে রাজি হওয়ায় কয়েকটি শিশুকে হত্যা না করে ছেড়ে দিয়েছে বলেও সে দাবি করেছে।”
Discussion about this post