নির্বিচারে দখল হয়ে যাওয়া রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসিরউদ্দিনের নেতৃত্বে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় এ অভিযান শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর আড়াইটার দিকে।
অভিযানে তার সঙ্গে ছিলেন পূর্বাচল প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল হকসহ রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অভিযানে থাকা কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় সড়কের উত্তর পাশে দখল হওয়া বিশাল এলাকা দখলমুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ৩০০ ফুট সড়ক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত প্রকল্পের জমি দখল করে দোকানপাট ও হাটবাজার গড়ে তোলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসিরউদ্দিন জানান, যেকোনো মূল্যে পূর্বাচলের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত ৩০০ ফুট সড়ক এবং ক্যানেলের জমি দখলমুক্ত রাখা হবে। এই প্রথমবার অভিযান চালিয়ে ক্যানেলের জমির ওপর নির্মিত পাকা স্ল্যাব ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। সড়কের জমি দখল করে পাকা স্ল্যাব দিয়ে সেখানে হোটেল-রেস্তোরাঁ, গ্যারেজ, কফি হাউস, টি স্টল, ফলের দোকান ও নার্সারি ব্যবসা শুরু হয়েছে। কুড়িল থেকে শুরু করে বোয়ালিয়া খাল পর্যন্ত উচ্ছেদ চালানো হয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল হক বলেন, প্রথম দিন বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা, টং দোকান ও পাকা স্ল্যাব উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর পরও সেখানে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা ও নার্সারি রয়ে গেছে। তাদের এক দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। দখলদারচক্র সেটা না মানলে পরে অভিযান চালিয়ে এসব উচ্ছেদ করা হবে।
এ এলাকার বাসিন্দারা জানান, ৩০০ ফুট সড়ক দখল হয়ে যাচ্ছিল দেখে তারা শঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ায় এখন অবৈধ দখল বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
Discussion about this post