ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে শিগগিরই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা। আগামী ৩১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন বিলুপ্ত ছিটবাসী। ২৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৩টি ইউপিতে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদে ভোট দেবেন তারা। নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এলাকায় যুক্ত হওয়া বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবেন। সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলো পার্শ্ববর্তী যে ইউনিয়ন পরিষদে যুক্ত হয়েছে, সেগুলোতে আগামী ৩১ অক্টোবর ভোট হবে।
এসব এলাকায় মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ৬ অক্টোবর, যাচাই-বাছাই ৭ অক্টোবর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৪ অক্টোবর। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৬টি, লালমনিরহাটে ৯টি, পঞ্চগড়ে ৮টি ইউপিতে ভোট হবে। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার জন্য পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ, দেবিবুবা ও বলরামপুরসহ নীলফামারীর ৩টি ইউপিতে এখনই ভোট হচ্ছে না। এছাড়া আরো কিছু ইউপিতে একই দিন ভোট হবে বলেও জানান তিনি।
ছিটমহল বিনিময়ের এক বছরের মাথায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বিলুপ্ত ছিটের সাড়ে ১০ হাজারেরও ভোটারযোগ্য নাগরিককে ভোটার করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে দাশিয়ারছড়ায় বিতরণ শুরু হবে উন্নতমানের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র।
ওই সময় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি, কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ, মারেয়া, বামোনহাট, বড়শশী; কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী সদর, পাথরডুবী, শিলখুড়ি; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর বুড়িমারী, পাটগ্রাম, কুচলীবাড়ি, জগতবেড়, জোংড়া, বাউরা এবং হাতিবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউপি’র ভোট পেছানো হয়।
দীর্ঘ ৬৮ বছর পর বাংলাদেশ-ভারতের স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, গত বছরের ১ আগস্ট ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে যুক্ত হয়। একইভাবে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের অংশ হয়ে যায়।
Discussion about this post