৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আব্দুল কাদের এ আদেশ দেন।
মহানগর হাকিম আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ ভাটিয়ারি এলাকার ফৌজদারহাটের ৭/বি এসোসিয়েট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে আসলাম চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে পূবালী ব্যাংক থেকে মোট ৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধের জন্য যমুনা ব্যাংকের চেক দিলেও অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে তা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
ফলে মোট ৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে পূবালী ব্যাংকের সিডিএ কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক এস এম ইয়াহিয়া ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ৮টি মামলা দায়ের করেন।
এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক প্রতারণার মামলাটি দায়ের করা হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক প্রতারণার আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে চেক প্রতারণার অভিযোগে আরও ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল দুইটি, ২২ মার্চ দুইটি ও ১৮ মার্চ দুইটি মামলা দায়ের করে পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসলাম চৌধুরী পলাতক ছিলেন। চলতি বছরের ১৫ মে মোসাদ কানেকশনে ঢাকার লালবাগ থানার মামলায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর চেক প্রতারণা মামলায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণের আবেদন জানান বাদি এস এম ইয়াহিয়া।
চেক প্রতারণা মামলায় আসলাম চৌধুরীকে হাজির করার জন্য পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ পরোয়ানামূলে সোমবার (২০ জুন) মহানগর হাকিম আব্দুল কাদেরের আদালতে আসলাম চৌধুরীকে হাজির করা হলে চেক প্রতারণা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি দেন আদালত।
এ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তবে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে কেউ জামিনের আবেদন করেননি।
Discussion about this post